চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে রেজাউল করিম নামের এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) তাঁর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের ভেতর কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসানোর পরিকল্পনা অবশেষে ভেস্তে গেছে। শুক্রবার দুপুরে থানা পুলিশের একটিদল কতিপয় মহলের দেয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই ইউপি মেম্বারকে ইয়াবাসহ আটক করেন। রেজাউল করিম ইউনিয়ন পরিষদের ৪নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।
এদিকে একজন জনপ্রতিনিধি মাত্র ৩৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আটক হওয়ায় ঘটনাটি সন্দেহজনক ধরে নিয়ে তাৎক্ষনিক রহস্য উৎঘাটনে অনুসন্ধানে নামেন চকরিয়া থানার নবাগত ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। এরপর শুরু হয় ইউপি মেম্বারকে আটকের জন্য পুলিশকে খবর দেয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া। এরই মধ্যে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশ কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে অবশেষে উদ্ধার করেন ঘটনার নৈপথ্য। একই সাথে গ্রেফতার করেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজনকে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন বরইতলী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের ময়নার বাপের পাড়ার মৃত ছৈয়দ নূরের ছেলে মূল পরিকল্পনাকারী আলী হোসেন ড্রাইভার (৪০) ও একই এলাকার আমির হোছাইনের ছেলে মারুফুল ইসলাম (৩২)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মেম্বার রেজাউলের মোটর সাইকেলের ভেতর ইয়াবা রয়েছে মর্মে পুলিশে খবর দেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আলী হোসেন ড্রাইভার। খবরের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক থানার এসআই কাওছার উদ্দিন চৌধুরী ও এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল অভিযানে যায়। প্রথমে ইউপি মেম্বার ও পরে ঘটনার নাটের গুরুসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর দুইজন পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, আগের কিছু ঘটনায় বিরোধের জেরে তাঁরা মেম্বার রেজাউল করিমকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিতে পরিকল্পনার কথা।
ওসি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত দুইজন এবং তাদের সহযোগিসহ ৫জনকে আসামি করে গতকাল শনিবার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটিতে স্বাক্ষী করা হয়েছে ষড়যন্ত্রের শিকার ইউপি সদস্য রেজাউল করিমকে। একইদিন বিকালে গ্রেফতারকৃত আলী হোসেন ও মারুফুল ইসলামকে উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা আদালতের কাছে ঘটনার সাথে নিজেদেরকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন স্বীকার করেন, তাদের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার রেজাউল করিমের পূর্ব শত্র“তা ছিল। এর জের ধরে রেজাউল বিভিন্নভাবে তাদেরকে হয়রানি করে আসছিল। এই ক্ষোভ থেকেই ইয়াবা দিয়ে মেম্বার রেজাউলকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন তারা।
পাঠকের মতামত: